মাসুদ আলম: [২] পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা শাহবাগে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭-৮ জনকে আটক করেছে। 

[৩] প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার পর  টিএসসি থেকে মুখে কালো কাপড় পরে একটি প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি কিছু সময় গড়ানোর পর সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের জানায়, রাস্তা বন্ধ করে কোনো কর্মসূচি করা যাবে না। পরে পুলিশ শহীদ মিনারে গিয়ে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাস্তা বন্ধ করে কোনো অবরোধ করছেন না। তারা সবকিছু ঠিক রেখেই নীরব কর্মসূচি পালন করছেন। 

[৪] বাগবিতণ্ডার একপর্যায় শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে পুলিশ। এসময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।  

[৫] কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আটক ৮ জনকে তাদের মুক্তি না দিলে আমাদের আন্দোলন চলবে। 

[৬] বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সংবাদ সম্মেলনে  আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন,  ৫০ মার্কের পরীক্ষা নিতে হবে; পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দিতে হবে। আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা হামলা করেছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। সরকার আমাদের দাবি গুলো যেন মেনে নেয়। 

[৭] আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও জানায়,  ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীরা মাত্র দেড় বছর সময় পেয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নয়, অনেক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। পরীক্ষা থেকে আইসিটি সাবজেক্ট বাদ দেওয়ারও দাবি জানান তারা। 

[৮] ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি আশরাফ হোসেন বলেন, এরা শিক্ষার্থী কি না, এ বিষয় যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সোমবার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলে উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছিল। তাদের আগামী ১৭ তারিখ পরীক্ষা অথচ মাত্র কয়েক দিন আগে তারা পরীক্ষা পেছানো ও ৫০ নম্বরের পরীক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। এটা অযৌক্তিক। তারা পুলিশের ওপর হামলাও করেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব